অতিরিক্ত সময়ে ভুটানের চমক, স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

0
22
অতিরিক্ত সময়ে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ
সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে ভুটানে গিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ও পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজ জিততে শেষ ম্যাচে শুধু হার এড়াতে হতো বাংলাদেশকে। সেই মিশনে সফল হতে পারেনি তপু-মোরসালিনরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
 
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে দুই দল। ড্র করে সিরিজ জিতে দেশের ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় ভুটান। ৯৩তম মিনিটে গোল করে জয় তুলে নেই স্বাগতিকরা। এতে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র হয়েছে।
 
এদিন ম্যাচের ১১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। লম্বা বল অফসাইড ফাঁদ ভেঙে পেয়ে ডান দিকে আক্রমণে গিয়েছিলেন ফাহিম। তবে তার শট ব্লক করে দেন ভুটানের এক ডিফেন্ডার। নিজে শট না নিয়ে তিনি কাটব্যাক করতে পারতেন মোরসালিনের কাছে।
 
২১তম মিনিটে ভুটান আবারও সুযোগ পায়। সতীর্থের ক্রসে ওয়াংডি নিমা পা ছোঁয়াতে পারেননি। পারলে হয়তো গোল পাওয়ার সুযোগ ছিল। ৩২তম মিনিটে বাংলাদেশ বিপদে পড়তে যাচ্ছিলো। তবে রক্ষা করেন মিতুল। অহেতুক কারিকুরি করতে গিয়ে বিপজ্জনক জায়গায় সিনিয়র সোহেল রানা বল হারান নামগিলের কাছে। বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে নামগিলের জোরালো শট শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে ফিস্ট করে দলকে বাঁচান মিতুল।
 
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সোহেল রানার থ্রু থেকে বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন শাহরিয়ার ইমন। তবে তার শট আগুয়ান ইয়েশি গেলশেন ব্লক করে গোল হতে দেননি। গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
 
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের লিড নিতে একাধিক আক্রমণ চলালেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষদিকে ভুটানের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টার করলেও স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে কিঙ্গা ওয়াংচুকের গোলে হারতে হয় বাংলাদেশকে। ৯৩তম মিনিটে গোল করতে ভুটানকে জয় এনে দেন এই ফুটবলার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.