স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি বা অটোমেশন চালু না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন কোনোভাবেই মনে না করেন, অহেতুক হয়রানি করার জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাজ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত কর ও ভ্যাট সংস্কারবিষয়ক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একটি একক ভ্যাট হার নির্ধারণ করতে চাই। কিন্তু এতে ব্যবসায়ীরাই বাধা হয়ে দাঁড়ান। এখন আর ভ্যাট দিতে কারও কাছে যেতে হয় না। এক ক্লিকেই নিজের সিস্টেম থেকে ভ্যাট দেওয়া সম্ভব।
করছাড় নিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে করছাড় দিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু দেখা যায়, আট বছরের জন্য করছাড়ের কথা থাকলেও তা ৪০ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা রয়েছে, যেটা স্বীকার করেই আমাদের এগোতে হবে। তার মতে, বিদেশি ঋণের বোঝা অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, নিজস্ব রাজস্ব বাড়াতে না পারলে এসব ঋণ পরিশোধ করাও একসময় বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি দেখেছি, নীতিসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতেই ৯০ শতাংশ সময় ব্যয় হয়ে যায়। তাহলে রাজস্ব আদায়ের সময় পাওয়া যাবে কীভাবে? এজন্য রাজস্ব খাতকে দুটি বিভাগে ভাগ করছি। একজনের জায়গায় দুজন কাজ করলে আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ন্যূনতম করহারসংক্রান্ত বিধানকে ‘কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এসব বিধান উঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে এখনই তা করলে রাজস্ব আদায় অনেক কমে যাবে। ন্যূনতম কর শৃঙ্খলায় এলে তবেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
সংলাপে ব্যবসায়ী নেতা, উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।