শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে জবিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, থমথমে পরিবেশ

0
52
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় রাতে ও দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এই মুহূর্তে। যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এদিকে শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হলেও ক্যাম্পাসে ওইসময় শিক্ষার্থীদের জড়ো হতে দেখা যায়নি খুব একটা। ক্যাম্পাসে মানুষজনের আনাগোনাও ছিল কম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, বিকেলে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মানববন্ধন শেষ করে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমর্থন জানাব।

পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর মিছিল থেকে ‘ফাইরুজ অবন্তিকা হত্যার বিচার কর’, ‘নিপীড়নকারী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়। তারা বলেন, ‘পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে, ভিকটিম ব্লেমিং বন্ধ ও ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলকে শক্তিশালী করতে হবে।’

সেইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে তাকে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.