ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের অন্যতম প্রধান বাহন ট্রেন। এ বছর বৃষ্টি-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে দুর্ভোগের ভয়ে এবার ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেশি। কিন্তু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো সাধারণ মানুষ। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলগামী ট্রেন ৮ থেকে ১৪ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে।
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে শনিবার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম কানায় কানায় মানুষে পরিপূর্ণ। গতকাল ট্রেনের বিলম্বের যে সূচি দেওয়া হয়েছিল স্টেশন থেকে তার থেকেও প্রতিটি ট্রেন বেশি বিলম্ব করবে বলে জানা যায়।
নতুন সূচি অনুযায়ী, রাজশাহীগামী সকাল ৬টার ‘ধুমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সাড়ে ১১ ঘন্টা দেরিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে।
সকাল ৬টা ২০ মিনিটের খুলনাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ছাড়বে দুপুর দেড়টায়।
চিলাহাটির ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ১০ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে সকাল ৮টার পরিবর্তে বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাবে।
‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট বিলম্বে সকাল ৯টার ঘটিকার পরিবর্তে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ছাড়বে।
‘লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনটি ১৫ ঘণ্টা বিলম্বে সকাল ৯:১৫ ঘটিকার পরিবর্তে রাত ১১ মিনিটে ছাড়বে।
‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ৯ ঘণ্টা দেরিতে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে আনুমানিক রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে।
রেলের পরিচালক মাহবুবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া জয়ন্তিকা ও রাজশাহী এক্সপ্রেস কখন ছাড়বে, তা কমলাপুরের কোনও কর্মকর্তা বলতে পারেননি।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিটি ট্রেন যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ। বাড়তি যাত্রীর কারণে ট্রেন স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। এ কারণে ট্রেন যেতে বিলম্ব করছে। ঢাকায় ফিরতেও দেরি করছে।
যেসব যাত্রী সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে, যাত্রা বাতিল করতে চান তারা টিকিট ফেরত দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ১ থেকে ৫ নম্বর কাউন্টারে টিকিট ফেরত নেওয়া হবে। টিকিট ফেরত দিলে পুরো টাকাই ফেরত পাবেন যাত্রীরা। কোনো ফি কাটা হবে না বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার।