সিলেটে ছুরিকাঘাতে গোবিন্দ দাস নামের এক সবজি ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৪ হাজার ৩০০ টাকা ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের ধোপাদীঘিরপাড়–লাগোয়া একটি গলিতে ছিনতাই করতে গোবিন্দ দাসকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ছিনতাই মিশনে অংশ নেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে তিনজন সরাসরি পথরোধ করে ছুরিকাঘাত করেন এবং বাকি দুজন সড়কে পাহারা দিচ্ছিলেন। এসব ঘটনা ধরা পড়ে এলাকার সিসি ক্যামেরায়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন রাহাত রাব্বি (২০), সৌরভ দাস (১৯) ও আতিকুর রহমান (১৯)। তাঁরা নগরের শিবগঞ্জ ও টিলাগড় এলাকায় বসবাস করলেও মূল বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়।
গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তরুণেরা নিছক ছিনতাই করার উদ্দেশ্যেই ছুরিকাঘাত করেছিলেন। এ সময় গোবিন্দ দাসের সঙ্গে থাকা আড়ত থেকে সবজি কেনার সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। গ্রেপ্তারের পর তাঁরা প্রাথমিকভাবে ছিনতাই ও ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন।
খুন হওয়া ব্যবসায়ী গোবিন্দ দাস সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নগরের আখালিয়া নতুন বাজার এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। ছুরিকাঘাতে আহত গোবিন্দ দাসকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ খবর পাওয়ার পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের অভিযানে নামে। পরে টিলাগড় এলাকা থেকে প্রথমে একজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে বাকি দুজনকে আটক করা হয়। তাঁরা সবাই ভাসমান এবং পেশাদার ছিনতাইকারী। উঠতি তরুণ বয়সী এসব ছিনতাইকারী ভোরে আড়তে যাওয়া সবজি ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে আড়তের পাশাপাশি অবস্থান করেন। সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে পালিয়ে যান।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর, সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সামছুদ্দিন ছালেহ আহমদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ প্রমুখ।