৭ গাড়িতে আগুন ও ২৪টি ভাঙচুর, ক্ষতিপূরণ দাবি মালিক সমিতির

0
144

রাজধানী ঢাকায় গতকাল শনিবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে সাতটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ২৪টি গাড়ি। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

সংগঠনের সভাপতি মসিউর রহমান ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান যৌথভাবে বিবৃতিতে সই করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায়ের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। পাশাপাশি পরিবহন নেতারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে সারা দেশে অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় হত্যা করা হয়েছে অনেক শ্রমিককে। অতীতের মতো অবারও আন্দোলন কর্মসূচির নামে সহিংসতা শুরু করেছে তারা।’

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শনিবার ঢাকর প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এ সময় কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে মাতুয়াইল ও শ্যামলীসহ ঢাকার কয়েকটি জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।

সহিংসতার ঘটনায় আটক ৭০০

শনিবারের সহিংসতার ঘটনায় ৭০০ জনের মতো ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সহিংসতায় সংশ্লিষ্টতা ছিল না এমন কেউ আটক হলে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ আজ রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আটক হওয়াদের মধ্যে কতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখনো জানেন না।

বাস পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ১০৯ নেতাকর্মী আসামি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস পোড়ানোর ঘটনায় শনিবার রাতে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মামলা করেন। যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা এই মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১০৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির নেতাকর্মীরা শনিবার আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টায় হঠাৎ একটি বিক্ষোভ মিছিল করে যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল, বাঁশের লাঠি ও ককটেল নিয়ে আসেন। সেখানে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে জনগণের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

গত শুক্রবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। পরে শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের অন্তত পাঁচটি জায়গায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

অন্যদিকে, শনিবার ‘সতর্ক পাহারার’ নামে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে কোনো কোনো জায়গায় সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে বিভিন্ন পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আটক বা গ্রেপ্তার হন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.