আবারও বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ। বিএসএফ বলছে, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ৪ কেজি ৬৬৭ গ্রাম। ভারতে যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬১ রুপি।
বিএসএফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে ভারতের পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের উদ্দেশে আসা একটি মাছ বোঝাই ট্রাকে তল্লাশি চালায় বিএসএফ। এ সময় মাছের বাক্সের নিচের থেকে উদ্ধার হয় একে একে ৪০টি স্বর্ণের বিস্কুট। আটক করা হয় ওই ট্রাকের চালককে।
জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফকে ওই ট্রাকচালক জানিয়েছেন, তার নাম সুশংকর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। তিনি সীমান্তে প্রায় ১৫ বছর ট্রাক চালানোর কাজ করছিলেন। ট্রাকের মালিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম এবং মাছের চালানের মালিক সাতক্ষীরার রয়েস ইন্টারন্যাশনাল। ভারতে এই মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
শনিবার আটক পাচারকারীকে পেট্রাপোল থানার পুলিশের হাতে এবং ৪০ স্বর্ণের বিস্কুট ও ট্রাক তেঁতুলিয়ার কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
চলতি মাসে এই নিয়ে চারবার দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তে স্বর্ণ আটক করল বিএসএফ। যার সর্বমোট ওজন ১৪ কেজি ৫১৬ গ্রাম। ভারতে যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় ৯ কোটি ৮০ লাখ রুপি।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্প লাইন ১৪৪১৯-তে ফোন করে স্বর্ণ পাচার সংক্রান্ত গোপন তথ্য বিএসএফকে জানাতে পারে। এছাড়াও ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ) বার্তা পাঠিয়ে স্বর্ণ পাচার সংক্রান্ত তথ্য জানানো যাবে। সেক্ষেত্রে সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং তাকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সীমান্তে বাংলাদেশে পাচারকালে ২৬ বোতল ফেনসিডিল ও ২১টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ করে বিএসএফ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফ জানায়, বিএসএফের অভিযানের খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও বালুরঘাটের সোনাপাড়া সীমান্ত চৌকির (বিওপি) এলাকা থেকে এই পাসপোর্ট ও মাদক উদ্ধার করেন বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশি শ্রমিকদের। পাসপোর্টগুলো দিল্লিতে রোমানিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছিল শ্রমিক ভিসার জন্য। কিন্তু ভিসা বাতিল হয়ে গেলে সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয় এজেন্সির কাছে। এরপর দিল্লি থেকে সেই পাসপোর্টগুলো দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিসের বদলে অবৈধ উপায়ে পাচারকারীর মাধ্যমে পাঠানোর চেষ্টা করলে তা বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।