কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে প্রায় ৩০০টি অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। পাশাপাশি গত ১৬ বছরে দেশের বাইরে পাচারকৃত অর্থ চিহ্নিত করার কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিএফআইইউ সূত্রে জানা যায়, দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিনশত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে মোট ১০০টি।
জব্দ হওয়া এসব অ্যাকাউন্টে বড় অংকের অর্থ রয়েছে। যদি মামলায় অর্থ আত্মসাৎ প্রমাণ হয় তাহলে জব্দকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কোষাগারে জমা হবে। আর মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিএফআইইউ’র ডেপুটি হেড এ কে এম এহসান জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়া হলেও অর্থের অবস্থান চিহ্নিত করা গেলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে পাচার করা অর্থ। তাই এসব চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
এদিকে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী। টাস্কফোর্স ও বিএফআইইউর সমন্বয়ে এ কাজ করছে তারা।