সোমালিয়ার জলদস্যুর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিককে নিয়ে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।
জাহাজের ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম জানান, আজ সোমবার সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করে ২৩ নাবিকসহ জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর নাবিকদের আরেকটি গ্রুপ পাঠানো হবে। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের তারা নিয়ে আসবেন তীরে। সদরঘাটের জেটিতেই নাবিকরা নামবেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, গত শনিবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। জাহাজটি দুবাই থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আসে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে লাইটারেজ জাহাজ দিয়ে সেগুলোর কিছু অংশ খালাস করা হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এনে খালাস করবে জাহাজটি।
গত ১২ মার্চ জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেওয়ার পর গত শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় আসে।
এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।