২০৩০ সালের মধ্যেই ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা আনছে মডার্না

0
207
টিকা আনছে মডার্না

ক্যানসারসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের টিকা আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম মডার্না বলছে, ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার এবং অটোইমিউনের মতো রোগের টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই প্রস্তুত হবে।

এ ধরনের টিকার ক্ষেত্রে ‘বড় ধরনের সম্ভাবনা’ দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে কিছু গবেষক জানান, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মাত্র ১ থেকে দেড় বছরের মতো সময় লেগেছে। যার ফলে সার্বিকভাবে টিকাখাতের গত ১৫ বছরের অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেছে।

মার্কিন ফার্মাসিউটিকাল প্রতিষ্ঠান মডার্নার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ড. পল বার্টন জানান, তার বিশ্বাস, আগামী ৫ বছরের মাঝে তার প্রতিষ্ঠানটি ‘সব ধরনের রোগের’ চিকিৎসার জন্য এ ধরনের সমাধান দিতে পারবে।

মডার্না করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে। পল জানান, মডার্না এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারের চিকিৎসায় টিকা তৈরি করছে।

পল বলেন, ‘আমাদের হাতে এই টিকা চলে আসবে এবং এটি অত্যন্ত উপযোগী হবে। যার ফলে কোটি না হলেও, লাখো মানুষের জীবন বাঁচবে। আমার ধারণা, আমরা বিভিন্ন ধরমের টিউমারে আক্রান্ত সারা বিশ্বের মানুষের জন্য ক্যানসার টিকা তৈরি করতে পারব।’

তিনি আরও জানান, শ্বাসযন্ত্রের বেশ কয়েক ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ১টি টিকাই যথেষ্ট হবে। এর মাধ্যমে মানুষ করোনাভাইরাস, ফ্লু ও অন্যান্য আরএসভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাবে। এছাড়াও, কিছু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা এমআরএনএ থেরাপি নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ মুহূর্তে এসব রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বললেই চলে।

পল বলেন, ‘আমার ধারণা, এর আগে যেসব জটিল ও বিরল রোগের জন্য কোনো ওষুধ ছিল না, সেগুলোর ক্ষেত্রে এমআরএনএ ভিত্তিক থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০ বছর নাগাদ আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যাব, যখন বংশগত কারণে কারো কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যাবে এবং খুব সহজেই এমআরএনএ ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তা “সংশোধন”করা যাবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.