১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ঝড়ে ম্যানচেস্টার ডার্বি ইউনাইটেডের

0
17
আমাদ দিয়ালোর এই গোলটাই ইউনাইটেডকে ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতিয়েছে, রয়টার্স
সিটি ১: ২ ইউনাইটেড
অবিশ্বাস্য!
 
১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডেই কীভাবে বদলে গেল সবকিছু। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ইউনাইটেড প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ইতিহাদ থেকে জয় নিয়ে ফিরল ওল্ড ট্রাফোর্ডে। লিগে হারের হ্যাটট্রিকের শঙ্কায় পেয়ে বসা দলটি জিতেছে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও আমাদ দিয়ালোর গোলে।
 
৩৬ মিনিটে ইওস্কো গাভারদিওলের গোলে পিছিয়ে পড়া ইউনাইটেড সমতায় ফেরে ফার্নান্দেজের পেনাল্টি গোলে ৮৮ মিনিটে। ম্যাথিউস নুনেসের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আমাদ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে যখন তিনি পেনাল্টি বক্সে ঢুকলেন সামনে শুধু সিটি গোলরক্ষক এদেরসন। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতেই কিনা দৌড়ে এসে আরও বড় ভুল করে বসলেন নুনেস। আমাদকে স্লাইড করে ফেলে দিলেন। তাতে বাজল পেনাল্টির বাঁশি। আর সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করলেন না ফার্নান্দেজ।
 
২ মিনিট যেতে না যেতেই আবার গোল ইউনাইটেডের। লিসান্দ্রো মার্তিনেজের দারুণ এক পাস ধরে বুটের ডগা দিয়ে এদেরসনের ওপর দিয়ে গোলে বল পাঠিয়ে দিলেন আমাদ। এরপর লিডটা ধরে রেখে জিতে গেল ইউনাইটেড। আর সিটি সর্বশেষ ১১ ম্যাচে পেল অষ্টম হারের স্বাদ।
 
অথচ এই দুই গোলের আগে একবারও মনে হয়নি ইউনাইটেড ম্যাচটি জিততে পারে। বরং প্রিমিয়ার লিগে হারের হ্যাটট্রিক করেই প্রতিবেশীর মাঠ থেকে ফেরার মতোই খেলছিল ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে সফল দলটি। তারা গোলটিও খেয়েছিল আর্সেনাল ও নটিংহাম ফরেস্টের কাছে আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কর্নার থেকে।
 
ম্যাচের বয়স তখন ৩৬ মিনিট। এর আগে ইতিহাদে মোটামুটি উদ্দেশ্যহীন ফুটবলই খেলেছে বাজে সময় কাটানো দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী সিটি ও ইউনাইটেড। সিটি একটি কর্নার পেল। কেভিন ডি ব্রুইনার শট কর্নার ইলকায় গুন্দোয়ানের পা ঘুরে আবার যায় বেলজিয়ান তারকার পায়ে। এবার ক্রস বাড়ালেন ডি ব্রুইনা। আর সেই ক্রসে মাথা ছুঁয়েই সিটিকে এগিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ইওস্কো গাভারদিওল।
 
ম্যাচের গতি বেড়েছে সিটির ওই গোলের পরই। শেষের সেই নাটকের আগে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে দুই দলই। সিটির ফিল ফোডেন ও ইউনাইটেডের ফার্নান্দেজরা পারেননি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে।
 
তবে শেষের সেই ঝড়ে ইউনাইটেড সব ব্যর্থতাই ভুলেই বাড়ি ফিরল লিগে ষষ্ঠ জয় নিয়ে। তাতে ১৬ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য হলেও ১৩ থেকে ১২-তে উঠল ইউনাইটেড।
 
অন্যদিকে ১৬ ম্যাচে পঞ্চম হারের স্বাদ পাওয়া গার্দিওলার সিটি ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পড়ে রইল পাঁচেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.