বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩৭ জন।
হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় মোট ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন। অর্থাৎ এ বছর ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, হালনাগাদ শেষে সারাদেশে প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। সারাদেশে হালনাগাদকালে মৃত ভোটার বাদ পড়েছেন ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭২ জন ও নারী ভোটার ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৫৭ জন।
গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (এ বছর ১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারও কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এ ক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় ছিল ১৬ দিন। সর্বশেষ সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষের সেই আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলো। আর এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।