বিমান সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ কোনো একসময় বিমানের ই-মেইল সার্ভার ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়। এরপর কয়েক দিন সংস্থাটির ই-মেইল সার্ভারের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে বিকল্প উপায়ে তা চালু করা হয়।
ম্যালওয়্যার একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে তথ্য চুরি করে নিতে পারে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর পেছনে থাকা হ্যাকাররা। সূত্র জানায়, ই-মেইল সার্ভার হ্যাকড হওয়ার পর কয়েক দফায় সতর্ক করে বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার চান হ্যাকাররা। তাঁরা বলেন, টাকা দেওয়ার পর বিমানকে সব তথ্য ফেরত দেবেন, সার্ভার সচল করবেন।
তবে শুরু থেকেই হ্যাকারদের টাকা দাবির বিষয়টিকে অস্বীকার করে আসছে বিমান। এমন অবস্থায় ২৩ মার্চ বিকেলে হ্যাকারেরা বিমানকে আরেকটি বার্তা পাঠান। এই বার্তায় বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে আপনারা বলছেন, কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি, কিন্তু আপনারা ভুল।’
ই-মেইল সার্ভার আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিমানের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, এ বিষয়ে আজ প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, গাফিলতি একেবারে নেই, তা বলা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, আক্রমণের বিষয়টি নজরে আসার পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অথোরিটিকে জানিয়েছেন। তারা পরিদর্শন করছে, কাজ চলছে।
সাইবার হামলার পর বিমান পরিচালনায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে দাবি করেন শফিউল আজিম। তিনি বলেন, যথারীতি কাজ চলছে।
আগামীকাল সোমবারের মধ্যে হামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন শফিউল আজিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের আইটি টিম ও ডিজিটাল সিকিউরিটি টিম যৌথভাবে কাজ করছে। গাফিলতির বিষয়ে এখনো পরিপূর্ণ প্রতিবেদন আসেনি। আগামীকালও কাজ হবে। কোথাও কোনো কোনো ঘাটতি থাকলে তা উঠে আসবে। ভবিষ্যতে কীভাবে এটি ঠেকানো যায়, সেটিও দেখা হবে।’
বিমান সাইবার হামলার শিকার হতে পারে—এমন আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।’