ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘সামান্য একটু এ ধরনের অন্যায় কাজ করে (নির্বাচনকে) প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপপ্রয়াস, সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।’
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, উপনির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছিল। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। ভোট শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে একজন প্রার্থী (হিরো আলম) কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তিনি তাঁর সমর্থক ও ইউটিউবার নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ আটকে দেয়। পরে ওই প্রার্থীসহ চার-পাঁচজনকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয় পুলিশ। ওই প্রার্থী যখন কেন্দ্র থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন কতিপয় দুষ্কৃতকারী তাঁকে আক্রমণ করে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক ঘটনা, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে না পারার ব্যর্থতা কার, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন সার্বিক দায়িত্বে থাকে। সরাসরি ‘প্রকেটশন’ দেওয়ার সুযোগ নেই। এই প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেটা পুলিশ কমিশনার দেখবেন কারও কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা। অনীহা ছিল কিনা, এগুলো দেখে তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে জানাবেন।
এদিকে, ইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হিরো আলমের ওপর মামলার ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। ডিএমপি কমিশনারকে ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টি ইসিকে অবহিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল টেলিফোনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।