হাড়ের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি ও সংক্রমণে হতে পারে ক্যান্সার

0
717
হাড়ের ক্ষয়

বোন ক্যান্সার বা হাড়ের রোগের কথা আজকাল বেশ শুনতে পাওয়া যায়। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর হারও অনেক বেশি। তবে ভয়ের বিষয়টা হচ্ছে– এই ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তাই নিশ্চিতভাবে কারও ক্ষেত্রেই বলা সম্ভব নয় যে, তার হাড়ের ক্যান্সার হবে কি-না।

এই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকার উপায় হচ্ছে কারণ ও লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সতর্ক থাকা। ম্যালিগন্যান্ট বোন টিউমার থেকেই মূলত হাড়ের ক্যান্সার হয়। হাড়ের কোষে টিউমার, অস্টিওজেনেটিক দেহকলার মারাত্মক টিউমার, কন্ড্রোমা সারকোমাটোসাম ইত্যাদি কারণে এটি হয়ে থাকে।

তবে হাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ ক্ষেত্র অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। হাড়ের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি ও সংক্রমণের কারণে ক্যান্সার হতে পারে। এছাড়া হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়ী প্রবাহ, জেনেটিক ফ্যাক্টর, ভাইরাস সংক্রমণ, রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে হাড়ের ক্যান্সার হতে পারে।

হাড়ের ক্যান্সার হলে রোগীদের হাড়ের ওপর শক্ত ক্লড তৈরি হতে পারে এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে। হাড়ে ফাটল দেখা দিতে পারে। এছাড়া অঙ্গ বিকৃতি হতে পারে।

বোন ক্যান্সারের রোগীদের জ্বর, ওজন হ্রাস ও অবসাদ হতে পারে। আক্রান্তদের চালিকাশক্তি ও কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। হাড় ফুলে যেতে পারে, গাঁটে ব্যথা, রাতে ব্যথা অনুভব ও ঝিমুনি ভাব এই রোগের লক্ষণ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, ভালো থাকুন।

লেখক:অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা পরামর্শক, রেডিয়েশন অনকোলজি ইউনাইটেড হাসপাতাল

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.