জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় কবে হবে, তা জানা যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় কবে হবে, তা জানানোর তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের তারিখ নির্ধারণের আগে আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়েছেন।
আজ এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
এরপর মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি চান। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ পর্যায়ে তাঁর (আসামিপক্ষের আইনজীবী) বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের জবাব দেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের খালাস প্রার্থনা করেন।
পরে ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় কবে দেওয়া হবে, তা আগামী ১৩ নভেম্বর জানানো হবে বলে জানান।
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন গতকাল বুধবার তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছিলেন।