ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধাদের রকেট হামলার মধ্যেই বুধবার ইসরায়েল সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা সম্পর্কে বাইডেন আলোচনা করবেন। এছাড়া অভিযানের মধ্যেও বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে তিনি ইসরাইলের কাছ থেকে শুনবেন।
ইসরায়েল সফর শেষে তিনি জর্ডানের আম্মানে যাবেন। সেখানে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসি এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
নিরাপত্তা উদ্বেগ: এদিকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসরাইল সফরের সিদ্ধান্ত ‘হালকাভাবে নেওয়া হয়নি’। তিনি বলেছেন, এটি খুব সংক্ষিপ্ত একটি সফর। জর্ডানের আম্মানে যাওয়ার আগে বাইডেন প্রথমে তেল আবিব যাবেন।
দেশটিতে সফররত মার্কিন কূটনীতিক ও আইন প্রণেতারা কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলার কারণে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এর আগে সোমবার নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে তেল আবিবের একটি বাঙ্কারে কয়েক মিনিটের জন্য আশ্রয় নিতে হয়েছিল। বাইডেনের সফর সম্পর্কে কিরবি বলেন, যদি সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বিশ্বাস না করি তাহলে আমরা এই সফরে যাচ্ছি না।
তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের থেকে আলাদা। কিয়েভে রাশিয়ার বোমা হামলার মধ্যেও এই বছরের শুরুতে বাইডেন সেখানে গিয়েছিলেন যা গোপন রাখা হয়েছিল।
বাইডেনের লক্ষ্য: সংবাদ সম্মেলনে জন কিরবি বলেন, বাইডেনের প্রধান লক্ষ্য ইসরায়েলের সঙ্গে ‘আমাদের সংহতি পুনঃনিশ্চিত করা’ এবং গাজার বেসামরিক লোকদের সাহায্যে সুবিধা দেওয়া। তিনি মানবিক সহায়তার বিষয়টি নিয়ে এমনভাবে আলোচনা করবেন যা হামাসের উপকারে আসবে না।
তিনি জানান, বেসামরিক নাগরিকরা গাজা ছেড়ে চলে যেতে চাইলে তাদের যাওয়ার জন্য ‘কিছু নিরাপদ পথ’ তৈরি করতেও বাইডেন কাজ করবেন।