হামলার জন্য আ’লীগ-যুবলীগকে দায়ী করলেন ভিপি নুর

0
399
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর এখন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। ফের হামলার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তিনি। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা করাতে ঢাকা কিংবা বরিশাল যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন নূর নিজেই। তিনি এ হামলার জন্য দায়ী করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ অভিযোগ করেন তিনি।এদিকে নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তার পরিবারের সদস্য ও সমর্থকরা। বুধবার রাতে গলাচিপার চর বিশ্বাসে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ভিপি নুরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ডাকসু ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। আমি কোনো মিছিল কিংবা কোনো স্লোগান দিয়ে যাইনি। মূলত ‘উলানিয়া দিয়ে যাচ্ছি এবং আমার সঙ্গে এত লোকজন’- এ বিষয়টি সইতে না পেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার মাথা ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। স্থানীয় ডাক্তাররা আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা অথবা বরিশাল যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আমি বাড়ি থেকে বের হলে ওরা ফের হামলা করবে আমার ওপর। তাই বাড়ির বাইরে কোথাও যেতে পারছি না।

এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে বলেন, ‘ভিপি নূর জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় এবং তার বহরে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মী থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে ধাওয়া করে। তবে এতে ভিপি নূরের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে শুনেছি।

গলাচিপা থানার ওসি আকতার মোর্শেদ জানান, ওই ঘটনায় ভিপি নূরের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে কিংবা কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নূর বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে দশমিনা বোনের বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উলানিয়া বাজারে তার মোটরসাইকেল বহরে হামলা চালানো হয়। এতে নুরসহ সফরসঙ্গী রবিউল, জাহিদ, ইব্রাহিম, রিয়াজ, রিয়ন, নজরুলসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন। ভাংচুর করা হয় তাদের দশটি মোটরসাইকেল। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ৯টি মোবাইল ফোনসহ নগদ অর্থ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.