হাঁস ছাড়া কার্যক্রম সম্পর্কে আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, হাতিরঝিলে পাঁচ হাজার হাঁস ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। এসব হাঁস দেখভালের জন্য জনবলও নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি হাঁসগুলোর যাতে খাবারের সংকট না হয়, সে ব্যবস্থাও নেবে রাজউক। হাতিরঝিলের পানির মান নিয়ে তিনি বলেন, লেকের পানির মান যাতে ভালো থাকে, সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে মশার বংশ বিস্তাররোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও রমনা পার্ক লেকে হাঁস ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু তদারকির অভাব ও দূষিত পানির কারণে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। তবে হাতিরঝিলে হাঁস রক্ষায় আশাবাদী রাজউক। যদিও হাতিরঝিলের পানির অবস্থা খুবই করুণ। মাঝেমধ্যেই হাতিরঝিলের পানি থেকে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়ায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হাতিরঝিলের আশপাশের এলাকায় ঢাকা ওয়াসার পয়োবর্জ্য শোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাই বেশির ভাগ বাড়ির মালিকেরা পয়োনালার সংযোগ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নালায় দিয়েছেন। এই নালা হয়ে পয়োবর্জ্যমিশ্রিত পানি হাতিরঝিলে আসছে, তাই পানিতে গন্ধ। হাতিরঝিলের পানিশোধনে রাজউকের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি।
হাতিরঝিলে হাঁস ছাড়ার সময় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী উজ্জল মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী বলেন, পর্যায়ক্রমে হাতিরঝিলে পাঁচ হাজার হাঁস ছাড়া হবে। আজ ছাড়া হাঁসগুলো দেখভালের জন্য হাতিরঝিলে কাজ করা ক্লিনার ও নিরাপত্তারক্ষীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।