স্যালাইনের সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
131
হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক কনফারেন্সে বক্তব্যকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ইনজেক্টেবল ও ফ্লুইড স্যালাইন সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে। বাইরে থেকে এসব স্যালাইন কিনতে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। তবুও হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখছে না স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট নেই। বাজারে স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হচ্ছে। শিগগিরই ৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন দেশে এসে যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন মেটার্নাল অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। মশার কামড় যদি না কমে ডেঙ্গু রোগী কমবে না। এডিস মশা কমানো যাদের দায়িত্ব তাদের দায়িত্বটা ভালো করে পালন করা প্রয়োজন। এখন ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়েছে গেছে। শুধু ঢাকা শহরে নয়। ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য শয্যার কোনো কমতি নেই। স্যালাইনের কোনো সংকট নেই।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা বাচ্চাদের যেসব ফাস্টফুড খাওয়াই, সেগুলোর প্রভাবে বাচ্চারা মোটা হয়ে যাচ্ছে, ওজন বেড়ে যাচ্ছে। মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস হয়। শিশুরা যেহেতু আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদের ফাস্টফুডের বিপরীতে ব্যালেন্স ফুড দেওয়া দরকার। তাদের ব্যালেন্স ফুডে অভ্যস্ত করা দরকার। সবকিছু মিলিয়ে একটা বড় সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় আমাদের ৪০-৫০ শতাংশের মতো ম্যালনিউট্রিশন ছিল, যা বর্তমানে ২০ শতাংশে কমে এসেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সব ধরনের খাবারই খেতে হবে, বিশেষ করে খাবারটা পুষ্টিকর হতে হবে। নিউট্রিশনের অভাব হলে স্টান্টিং (খর্বকায়) বেড়ে যায়, যা আমাদের দেশে এখনও ২০ শতাংশের বেশি। এছাড়া নিউট্রিশনের অভাবে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি ইমিউনিটির ওপর প্রভাব পড়ে। খাদ্যটা যদি সুষম না হয়, তাহলে কিন্তু অসুখ বাড়ে। যার ফলে আমাদের হেলথ সেক্টরে প্রভাব পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের মাতৃ-শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। একটা সময়ে গড়ে ৬০০ জনের মতো মৃত্যু হতো, বর্তমানে তা ১৬০ জনে চলে এসেছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বলেই মৃত্যু কমে এসেছে। তবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ আছে। এসডিজি অর্জন করতে হলে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের দেশে ফল, শাকসবজি, মাছসহ সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং সুষম খাবারের বিষয়ে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.