অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড রান করেছে ৩৭৪। ৯০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নার, ব্যানক্রফট, উসমান খাজার মতো তিন টপ অর্ডারকে হারানো অস্ট্রেলিয়াকে বেশ বিবর্ণই দেখাচ্ছিল। তবে অজিদের হতাশার কালো মেঘে ঢাকা আকাশে ঝলমলে সূর্য হয়ে ফের উঁকি দিতে শুরু করেছেন স্মিথ। ৩১ বলে ৪৬ রান করে এখনো ক্রিজে আছেন।
প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রান করে দলকে খাদের কিনার নয় বরং খাদের তলা থেকে টেনে তুলেছিলেন স্মিথ। স্মিথকে সঙ্গ দিচ্ছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ট্রেভিস হেড। হেড অপরাজিত আছেন ২১ রানে।
শনিবার তৃতীয় দিনে ইংলিশদের হয়ে ব্রড, মঈন আলী ও স্টোকস ১টি করে উইকেট নেন। আলোক স্বল্পতার কারণে এদিন ১৩ ওভার কম খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্রডের তোপের মুখে পড়েন। ব্যাটিংয়েও ব্রডের কল্যাণেই ইনিংসে লিড পায় ইংল্যান্ড। ব্রডের বলে বেরিস্টোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। প্রথম ইনিংসেও এই অজি ওপেনার ব্যর্থ হয়েছিলেন লম্বা ইনিংস খেলতে। ওয়ার্নারদের সংগ্রহ তখন ১৩ রান। একইভাবে আরেক ওপেনার ব্যানক্রফটও সাজঘরের রাস্তা ধরেন। ব্যানক্রফটকে শিকার করেন মঈন আলী। ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ তখন বেশামাল। তিনে নেমে উসমান খাজা দ্রুত রান তুলে পাল্টা আঘাত করতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁরও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৮ বলে ৪০ রান করে তিনি স্টোকসের শিকার বনে সাজঘরে ফেরেন।
এর আগে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের মতো ছোট ‘লেজ’ দিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে ৯০ রানের লিড দেয় ইংল্যান্ড। আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৬৭ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে ইংল্যান্ড। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া ররি বার্নস নেমেছিলেন ১২৫ রান নিয়ে, ফিরে গেছেন আর ৮ রান যোগ করেই। তাঁর আগে ফেরেন বেন স্টোকসও। একটা সময়ে ৪ রানের মধ্যে বার্নসসহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে ২৯৬ থেকে ৮ উইকেটে ৩০০ রান হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
কিন্তু নবম উইকেটে ওকস আর ব্রড যে উইকেটে আসন গেড়ে বসেন! জুটিটি ৬৫ রানের, তাতে ওকসের অবদান ৭৯ বলে ৩১। ব্রড যা করেছেন তা-ও অসাধারণ। ৬৭ বল খেলে দুটি চারে করেছেন ২৯ রান। ব্রডের আউটের পর খুব বেশি দূর যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। অলআউট হয়েছে ৩৭৪ রানে।