ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তাঁর স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ রোববার বলেন, স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় অভিযান চলছে।
কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ব্ল্যাকমেল করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসবাদ করে খুনের আসল কারণ জানা যাবে।’
ইমতিয়াজের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল কি না, সে বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছু বলতে পারেননি। তাঁর ছোট বোন ফৌজিয়া বলেছিলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। তিনি খুবই নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।’ তিনি জানান, ৭ মার্চ ইমতিয়াজের বিবাহবার্ষিকী ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। একটি ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।