হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী তালাক দেওয়ায় শ্বশুরবাড়িতেই ইউসুফ আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইউসুফ আলী উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের আমতলা এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে।
আজ বুধবার সকালে ইউসুফ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে কোনো একসময় ইউসুফ আলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর গোগাউড়া এলাকায় শ্বশুর চাঁন মিয়ার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে দুই সপ্তাহ আগে ইউসুফ আলীর স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে স্ত্রীকে বুঝিয়ে নিজ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ি যেত ইউসুফ আলী। মঙ্গলবার রাতেও স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল সে। কিন্তু স্ত্রীকে আনতে ব্যর্থ হয়। বরং ইউসুফের স্ত্রী আমিনা খাতুন তাকে তালাক দেয়। এ ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে রাতেই শ্বশুবাড়ির পেছনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ইউসুফ।
আজ সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ইউসুফকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার তালুকদার ও দেলোয়ার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল হক জানান, মরদেহের গলায় অর্ধাকৃতির কালো দাগ দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে আত্নহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও মৃত ব্যক্তির স্বজনদের কোনো অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।