দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রেখে স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। শুক্রবার ভোরে হত্যার পর রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে তিনি স্ত্রী খুনের কথা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার ঘরের ওয়ারড্রোব থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই ব্যক্তির নাম মনোয়ার হোসেন (৩৩) যিনি স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (২৭) হত্যার কথা নিজে থেকে এসে থানায় বলেছেন বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে মনোয়ার হোসেন তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বাড়ির ওয়ারড্রোবের ভিতরে লুকিয়ে রাখে। পরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানায়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে ওয়ারড্রোবের ভিতরে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পায়। রাতেই মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত সুমাইয়ার ভাই ইসাহাক আলী জানান, তার বোন স্থানীয় এক বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিল। ২৮ জানুয়ারি তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর জানতে পারি মনোয়ার হোসেনের আগের বউ ছিল। বিয়ের ২৮ দিনের মাথায় বোনকে হত্যা করেছে এই পাষণ্ড। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন জানান, গত জানুয়ারি মাসে তাদের বিয়ে হয়েছে। কি কারণে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে নিহতের ভাই এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।