সৌদি, কাতার ও আমিরাত সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

0
23
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও সফর করবেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট জানিয়েছেন, আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সফর সূচিতে ইসরায়েলের নাম না থাকায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।

লেভিট জানান, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে শুক্রবার রোমে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশ সফর।

সূত্র জানায়, মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব নির্দেশনা। ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে থাকা ব্যবসামুখী নীতিনির্ধারকেরা এই সফরকে দেখছেন বিনিয়োগ আনার পথ হিসেবে, আবার একইসঙ্গে এক আঞ্চলিক এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবেও।

উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই ঘনিষ্ঠতা কেবল নিরাপত্তার জন্য নয়। জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা, উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্ব গড়ার এবং প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করাও এ পরিকল্পনার অংশ।

সৌদি আরব সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প জানান, তিনি তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিতে তার সফরের মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য।

ট্রাম্প আরও বলে, আমি বলেছিলাম আপনারা (সৌদি আরব) যদি আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে এক ট্রিলিয়ন ডলার দেন, চার বছরের জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারে ক্রয় করতে সম্মত হন তাহলে আমি যাব। তারা এটি করতে সম্মত হয়েছে, তাই আমি সেখানে যাচ্ছি। ’

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের বড় দিক হচ্ছে ইরানবিরোধী অবস্থানকে পাকাপোক্ত করা। পারস্য উপসাগরে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে ইসরাইল, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে একটি শক্তিশালী জোট গঠন তৈরি করতে চান ট্রাম্প।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গাজায় চলমান সংঘাতের ভেতরেও ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতে আগ্রহী ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্ভাব্য সম্পর্কোন্নয়নে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নির্ধারকের ভূমিকা পালন করতে পারবে।

মার্কিন শুল্কনীতি ও বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.