সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয়ের তথ্য জানিয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ জন বাংলাদেশি হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালা মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, গাজীপুরের টঙ্গীর মো. আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, খাইরুল ইসলাম, মো. রাসেল মোল্লা, যশোর সদরের কাউসার মিয়ার ছেলে মো. নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন,
নোয়াখালীর মো. হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজারের মহেশখালীর মোহাম্মদ আসিফ, শাফাতুল ইসলাম, নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শাহিদুল ইসলাম, তুষার মজুমদার, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের মামুন মিয়া, মিরাজ হোসাইন, কুমিল্লার দেবিদ্বারের হামিদের ছেলে গিয়াস, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মো. হোসাইন, আব্দুল আউয়ালের ছেলে সাকিব এবং রানা মিয়া।
এ ঘটনায় আহত বাংলাদেশি যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরার সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকা এলাকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নম্বর EA0231718), লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), মো. সেলিম (পাসপোর্ট নম্বর A03459571), কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), কুদ্দুস (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মহম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান এবং যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন।
সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় সোমবার (২৭ মার্চ) ব্রেক ফেল করে সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাস উল্টে যায়। এতে বাসটিতে আগুন ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের ৩৪ জন বাংলাদেশি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।