নোয়াখালীতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত নারী মঙ্গলবার রাতে দু’জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দু’জনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে সুবর্ণচর উপজেলায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ওই নারী স্বামী পরিত্যক্তা। দুই সন্তানের এই জননী স্থানীয় একটি মেসে রান্নার কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ভানুয়াই গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে শান্ত (২০), আলেয়ার ওরফে আলমের ছেলে জুবায়ের (২৪) ও অজ্ঞাত দুই যুবক তাকে রাস্তা থেকে তুলে স্থানীয় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে একটি মাঠে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ওই নারীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। ওই নারী বিষয়টি পরদিন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে ওই নারী মঙ্গলবার রাতে থানায় গিয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ বুধবার ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, দুপুরে ওই নারীর প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানা পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদ হোসেন বলেন, নির্যাতিত নারী থানায় এসে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। চারজনের মধ্যে দু’জনের নাম তিনি বলতে পেরেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।