গত বুধবার সি চিন পিং দেশটির সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন বলে পরদিন বৃহস্পতিবার জানায় চীনা সংবাদমাধ্যম। বলা হয়, রাজধানী বেইজিংয়ে পিএলএ হেডকোয়ার্টার থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে তিনি সেনাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ সময় সি চিন পিং দেশটির সেনাদের বলেন, ‘আপনারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন?’ জবাবে চীনা সেনারা সমস্বরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা প্রস্তুত।’
চীনের এমন উসকানির মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে বড় পরিসরে বিমান মহড়ার প্রস্তুতি নেয়। আগামী ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি এই মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সম্মুখসারির যোদ্ধা, হেলিকপ্টার, ড্রোনসহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থিত ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড এই মহড়া তত্ত্বাবধান করবে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চীনের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় গত মাসে দুই দিনের মহড়া চালিয়েছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে চীনের সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের হাতাহাতির ঘটনার পর এই মহড়া চালায় ভারত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আগেরবারের তুলনায় এবারের মহড়াটি বেশ বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস যুদ্ধবিমান, চিনুক–অ্যাপাচি হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন আকাশযান এতে অংশ নিতে পারে।
পূর্বাঞ্চলের লাদাখ সীমান্তে চীন ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার শীত মৌসুমে ওই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এটা নিয়েও চীনের সঙ্গে ভারতের বিরোধ চলছে। এর মধ্যেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে দুপক্ষের হাতাহাতি ও বিরোধের ঘটনা ঘটেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় পূর্বাঞ্চলের এলএসি বরাবর চীনা যুদ্ধবিমানের একের পর এক উপস্থিতি শনাক্ত করেছে ভারত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বাহিনী সেখানে সুখোই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া ভুটানের দোকলাম অঞ্চলে নিজেদের কার্যক্রম ও অবকাঠামো নির্মাণ ত্বরান্বিত করেছে চীনা বাহিনী। সিকিম-ভুটান ও তিব্বতের সীমান্তসংলগ্ন এই এলাকায় চীনা উপস্থিতি ও কার্যক্রম বৃদ্ধি দিল্লির উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।