আগে বেশ কয়েকটি সিনেমা, টিভি সিরিজ করলেও সেভাবে পরিচিতি পাননি। সেটা কিছুটা পান নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘সেক্স এডুকেশন’ দিয়ে। তবে একই প্ল্যাটফর্মের আরেকটি সিরিজ ‘ব্রিজারটন’ দিয়ে তারকাখ্যাতি পান সিমোন অ্যাশলি, হয়ে ওঠেন তরুণদের অন্যতম পছন্দের অভিনেত্রী। তবে এবার তিনি আলোচনায় ‘এফ ওয়ান’ সিনেমা দিয়ে। অভিনয় করলেও গতকাল মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে নেই তিনি। চূড়ান্ত সম্পাদনার পর বাদ পড়া নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই তাঁর।
সিমোন সিনেমাটিতে যে থাকছেন না, সে খবর আগেই চাউর হয়। তাই গত ২৩ মে লন্ডনে সিনেমার প্রিমিয়ারে তাঁকে ঘিরেই ছিল সংবাদমাধ্যমের যত কৌতূহল।
সিনেমাটির পরিচালক জোসেফ কসিনস্কি অবশ্য জানিয়েছেন, এ ধরনের পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। পিপল সাময়িকীতে কসিনস্কি বলেন, ‘প্রতিটি ছবিতেই কিছু অংশ বেশি করে শুট করা হয়, যা পরে বাদ দিতে হয়। এ ছবির ক্ষেত্রেও এমন দুটি-তিনটি সাব-প্লট বাদ পড়েছে।’ তবে তিনি সিমোনের প্রশংসা করে বলেন, ‘সে অসাধারণ প্রতিভাবান।
ভবিষ্যতে তার সঙ্গে আবার কাজ করতে চাই।’ সিনেমাটিতে জায়গা না পেয়ে হতাশ নন সিমোন। তিনি বরং ভক্তদের পাশে থাকার জন্য ভালোবাসা জানিয়েছেন। ২৪ জুন ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘এই সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীদের সঙ্গে প্রিমিয়ারে আবার দেখা হয়ে খুব ভালো লেগেছে। সবাইকে পর্দায় ও রেড কার্পেটে দেখে গর্বে ভরে গিয়েছিল মন।’ এর আগে এল সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এ সিনেমার অংশ হতে পেরে কৃতজ্ঞ। অনেকগুলো গ্রাঁ প্রির অভিজ্ঞতা হয়েছে, আর কখনো এমন কিছু করব কি না, সন্দেহ।’
রেসিং নিয়ে তৈরি সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সিমোন বলেন, ‘এটা যেন থিয়েটার মঞ্চে থাকার মতো। সবকিছু এতটা দ্রুত, এতটা সরব; অনেক সময় বোঝারও সময় পাবেন না। এটা খ্যাপাটে অভিজ্ঞতা বললেও ভুল হবে না।’
সিমোন অ্যাশলের জন্ম ইংল্যান্ডের সারেতে, তাঁর মা-বাবা দুজনই ভারতের তামিলনাড়ুর। সিমোনের ছোটবেলা থেকে অভিনয়ে ঝোঁক। পড়েছেন রেডরুফস থিয়েটার স্কুলে, পরে অভিনয়ের তালিম নিয়েছেন পশ্চিম লন্ডনের আর্টস এডুকেশনাল স্কুল থেকে। সামনে বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজে দেখা যাবে তাঁকে।
