শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় এ সুপারিশ করে কমিশন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তথ্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে হয়, তথ্য সরবরাহে অসহযোগিতা এবং তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। তথ্য কমিশনের প্রধান কমিশনার ড. আবদুল মালেক এবং তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও মাসুদা ভাট্টি তথ্য অধিকারের আইন অনুযায়ী শুনানি গ্রহণের পর এ নির্দেশ দেন।
এদিন সকাল সোয়া ১০টায় সাদিয়া উম্মুল বানিন তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে তার ব্যাখ্যা দেন তিনি। ব্যাখ্যা দেওয়া শেষে বেলা পৌনে ১টার সময় বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ আড়াল করে দ্রুত হেঁটে বাইরে অপেক্ষারত সিএনজিতে গিয়ে ওঠেন।
সিএনজিতে উঠে ইউএনও বানিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যা বলার আমি তথ্য কমিশনকে বলেছি। আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি।