সেই আবেদপুত্র গ্রেপ্তার, খোয়ালেন ছাত্রলীগের পদ

0
77
সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়ির চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের পর সিয়ামকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীমের সই করা যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপের জড়িত থাকায় তাকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাবা-ছেলের সঙ্গে পিএসসির দুইজন উপপরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর, উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, একটি বাহিনীর কর্মকর্তা অডিটর প্রিয়নাথ রায়, একটি বাহিনীর সাবেক সদস্য নোমান সিদ্দিকি, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের মামুনুর রশীদ, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন, বেকার যুবক লিটন সরকার, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাকর্মী শাহাদাত হোসেন ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান।

সোমবার সন্ধ্যায় সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক এই গাড়িচালকের নাম প্রচারের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সৈয়দ আবেদ আলীর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান খয়রাত আর পরহেজগারির নানা খবর।

সৈয়দ আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে তার বিপুল বিত্তবৈভবের খবর। ঢাকায় ও গ্রামে একাধিক বাড়ি, গরুর খামার ও সম্পদের তথ্য মিলেছে তারই ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবৈভব বানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

সবশেষ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। উঠবস করতেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.