নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ আদায় করতে পারছে না ব্যাংকবহির্ভূত অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এতে এ খাতের খেলাপি ঋণ দ্রুত বাড়ছে। এর প্রভাবে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি কমানোসহ সার্বিক সূচকের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল রোববার প্রাথমিকভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমডি ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক হবে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে পরিকল্পনা দিতে বলা হয়েছে, যাতে আগামী ডিসেম্বরের প্রতিবেদন থেকে পরিস্থিতির উন্নতির প্রতিফলন থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তিন মাস আগে এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ছিল ১৭ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের যা ২৫ শতাংশ। বর্তমানে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছয়টির খেলাপি ঋণ রয়েছে ৮০ শতাংশের ওপরে। ১৫টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৩২ শতাংশের বেশি। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাংকেরও খেলাপি ঋণ দ্রুত বাড়ছে। নানা ছাড়ের পরও ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গত জুন শেষে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় ঠেকেছে। মোট বিতরণ করা ঋণের যা ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।