পুলিশের হামলার শিকার সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘দুপুর পৌনে বারোটার দিকে হট্টগোলের শব্দ শুনে ভোট কেন্দ্রে যায়। সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করেন। সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ আমাকে লাথি মারেন।’ তিনি বলেন, সকাল ১০ টা থেকে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভোটকেন্দ্রে ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ ঢুকেন। তখন সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান বলেন, পুলিশ আমাকে ঘিরে ধরে পিটিয়েছে। এতে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে।’ তিনি বলেন, পুলিশ বিভিন্ন সাংবাদিকদের মুঠোফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেন।
ফটোসাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাস বলেন, হট্টগোলের ছবি তোলার সময় পুলিশ আমার পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখানোর পর সেটি ছবি তুলে রাখেন পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আমাকে গালাগালি দেন ও গায়ে হাত তুলেন।
পুলিশের হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, হামলার ঘটনাটি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।