সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তদন্ত চলবে আরও দুই দিন

0
194
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির অনুসন্ধানে নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে সাত সদস্যের কমিটিতে বৃহস্পতিবার একজন কেমিস্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুমন বড়ুয়া। কেমিস্ট যুক্ত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সদস্য বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে। নতুন সদস্যকে নিয়ে আরও দুইদিন তদন্ত কার্যক্রম চালানোর পর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে চার জনের পরিবারকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবারও ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, নিহত সাতজনের প্রত্যেককেই মালিক পক্ষ ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে অঙ্গহানি হওয়া শ্রমিকরা ৫ লাখ টাকা করে ও অল্প আহতরা ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের টাকা পৌঁছে দেব। বৃহস্পতিবার নিহত পাঁচ পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য এসেছে। তাদের মধ্যে চারজনের পরিবারকে চেক দেওয়া হয়েছে। অপর একজনের পরিবারের কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় তা ঠিক করে আনতে বলা হয়েছে।

গত শনিবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে অবস্থিত সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজন নিহত ও অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিব হাসান। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, সদস্য সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. আবদুল হালিম, সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ, চট্টগ্রামের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক এস এম শাখাওয়াত হোসাইন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিদর্শক শুভংকর দত্ত।

এই কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে শুরুতে জানানো হয়েছিলো। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কমিটির বৈঠকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ কেমিস্টকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিব হাসান বলেন, ‘আমাদের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তবে নতুন নতুন বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ কেমিস্টকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তদন্তের জন্য আরো দুই কার্যদিবস আমাদের কাজ করতে হবে। এরপর কোনো এক সময়ে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করব।’

তদন্তে এখন পর্যন্ত কী কী তথ্য উঠে এসেছে জানতে চাইলে সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান রাকিব হাসান। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ হলেই আমরা সব কিছু স্পষ্ট করব। এখন কিছু প্রকাশ করলে কাজ ব্যাহত হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.