সিলেটে শারক্বীয়ার দাওয়াতি শাখার প্রধানসহ ৪ জঙ্গি গ্রেপ্তার

0
119
৪ জঙ্গি গ্রেপ্তার

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়াতি শাখার প্রধানসহ ৪ সদস্যকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার এয়ারপোর্টের বড়শলায় র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৯ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে র‍্যাব-৯ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে সিলেটে অভিযান পরিচালিত হয়। সিলেটের বড়শালায় মায়মুন ও তার সহযোগীরা অবস্থান করে দলকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৯ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল- জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার অন্যতম শুরা সদস্য ও দাওয়াতি শাখার প্রধান সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হাফিজ মাওলানা মাহমুদ হোসাইনের ছেলে আবদুল্লাহ মায়মুন ওরফে মুমিন (৩৪), ফরিদপুরের চরভদ্রাসন এলাকার শেখ আব্দুস ছালাম মাস্টারের ছেলে মো. আবু জাফর তাহান (৪০), চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মৃত মোস্তফা কাজীর ছেলে মো. আক্তার কাজী সাইদ অরজে আইজল (৩৮) ও গোপালগঞ্জের মুকসেদপুরের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন জানান, মায়মুন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা করে থাকেন। আরেক জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করেন। মায়মুন ২০১৩ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। তিনি পরে আনসার আল ইসলামের সিলেট বিভাগীয় প্রধানও ছিলেন। আনসার আল ইসলামের শীর্ষ জঙ্গি নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ২০১৯ সালে বগুড়ায় সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করে ২০২০ সালের শেষের দিকে জামিনে বের হন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ তরুণ নিখোঁজের পর দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম নেয়। এসব তরুণের ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় থাকার প্রমাণ পায় র‍্যাব। সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’-এর সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ-এর ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.