সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িতে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

0
233
ওসমানীনগর উপজেলায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর গাড়ি

তাহসীনার ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হক জানান, আটক ব্যক্তিরা হলেন ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ, ছাত্রদলের নেতা নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমদ।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, আজ বিকেলে উপজেলার গোয়ালাবাজারে তাহসীনা রুশদীর নেতৃত্বে গণসমাবেশের প্রচারণার অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বিকেল চারটার দিকে তাহসীনা রুশদীর তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠেন। এ সময় ছাত্রলীগের স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী হামলা চালিয়ে তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিসবাহ আহত হন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাহসীনার গাড়িচালক দ্রুত গাড়ি নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। যত দূর শুনেছি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অন্য আরেকটি পক্ষ তাহসীনা রুশদীর গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো কর্মীর সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।’

স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, গোয়ালাবাজার এলাকা থেকে ফিরে উপজেলার তাজপুর বাজারে শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণ করেন তাহসীনা। এরপর তিনি দয়ামীর বাজারে যান। সেখানে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুলিশ এসে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাহসীনার সঙ্গে থাকা ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় তাহসীনার গাড়িচালককেও পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন ছাত্রদলের দুই নেতাকে আটকের বিষয়টি  স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলের ওই নেতা-কর্মীদের ঝামেলা হয়েছে। এ জন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করা হয়েছে। তবে থানার বাইরে থাকায় তিনি তাঁদের নাম বলতে পারেননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.