বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া এবং আরিচা ও কাজিরহাট নৌপথে নদী অববাহিকায় কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যার পর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশাও বাড়তে থাকলে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। রাত দেড়টার দিকে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া এনায়েতপুরী ও ভাষা শহীদ বরকত মাঝ নদীতে কুয়াশার কবলে দিক হারিয়ে ফেললে সেখানে নোঙর করে।
আরিচা ও কাজিরহাট থেকে ছেড়ে যাওয়া কেটাইপ ফেরি ক্যামেলিয়া ও বেগম সুফিয়া কামলা মাঝ নদীতে আটকা পড়লে ফেরি দুটি মাঝ নদীতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। দুই রুটের মাঝ নদীতে ফেরি আটকা পড়ার খবর পেয়ে দিবাগত রাত পৌনে দুইটা থেকে দুই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এই রুটের ফেরি চালু হয়নি।
এ সময় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ১৩ ফেরির মধ্যে দৌলতদিয়ায় শাহ মখদুম, কেরামত আলী, কেটাইপ ফেরি ফরিদপুর, ইউটিলিটি ফেরি বনলতা ও রজনীগন্ধা নোঙর করে থাকে। পাটুরিয়ায় শাহ জালাল, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, খান জাহান আলী, ইউটিলিটি ফেরি হাসনা হেনা, চন্দ্র মল্লিকা ও মাধবীলতা এবং মাঝ নদীতে ভাষা শহীদ বরকত ও এনায়েতপুরী নামের দুটি বড় ফেরি নোঙর করে আছে। আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের অপর তিনটি ফেরি আরিচা ঘাটে গাড়ি লোড নিয়ে নোঙর করে আছে।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে সকালে ছেড়ে আসা একাধিক লঞ্চ মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে ঘুরপাক খায়। প্রকৌশলী বজলুর রহমান নামে লঞ্চের এক যাত্রী মুঠোফোনে বলেন, ‘মাঝ নদীতে তিনটি লঞ্চ দিক হারিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর দেখি পাটুরিয়ায় ভিড়ছি। কুয়াশার কারণে চারদিকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে মুঠোফোনে ম্যাপ লোকেশন দেখে ধীরগতিতে আগায়।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, অষ্টম দিনের মতো ভারী কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই দুই নৌপথে গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটা থেকে ফেরি বন্ধ থাকে। এ কারণে প্রতিটি ঘাটেই যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর সকাল সোয়া নয়টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এবং সাড়ে নয়টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চালু হয়।