সারাহর কিডনি ও কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পর চারজনই ভালো আছেন

0
221
অঙ্গ দান করে দেশে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সারাহ ইসলাম

সারাহ ইসলামের অন্য কিডনিটি প্রতিস্থাপন করা হয় রাজধানীর মিরপুরের বেসরকারি কিডনি ফাউন্ডেশনে। হাসপাতালের প্রধান ও দেশের বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন–অর–রশীদ বলেন, কিডনি গ্রহীতা ওই নারী ভালো আছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে।

ইউডার চারুকলা বিভাগে পড়তেন সারাহ ইসলা

গত বুধবার দেশে প্রথম মৃত ঘোষিত কোনো ব্যক্তির অঙ্গ অন্য কোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০ বছরের সারাহ ইসলাম। তাঁর জীবনের আশা ছিল না। দেশের আইন মেনে সারাহর মৃত্যু ঘোষণার পর তাঁর অঙ্গদানে সম্মত হন মা শবনম সুলতানা। গুরুতর অসুস্থ থাকার সময় সারাহ নিজেও এমন ইচ্ছার কথা তাঁর মাকে বলেছিলেন।

গত বুধবার বিএসএমএমইউতে একটি কিডনি ও কিডনি ফাইন্ডেশনে অন্য কিডনি দুই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর দুটি কর্নিয়া দুই পুরুষের চোখে লাগানো হয়। একটি বিএসএমএমইউতে এবং অন্যটি সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে।

এই জটিল অস্ত্রোপচারে একাধিক চিকিৎসকদল কাজ করেছিল। তাদের কাজের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান। তিনি বলেন, কর্নিয়া দেওয়া দুই ব্যক্তিও সুস্থ আছেন।

অঙ্গদান হতে হয় নিঃস্বার্থ। এর সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন বা লাভ–লোকসানের সম্পর্ক থাকে না।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা বলেছেন, কিডনি, কর্নিয়া বা যেকোনো অঙ্গ কাকে দেওয়া হবে, তা দাতার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের জানানোর রীতি নেই। এতে ‘ইমোশনাল ব্লাকমেইল’–এর সুযোগ থাকে, নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.