সাবিলা নূরের অজানা কথা

0
851
সাবিলা নূর

সাবিলা নূর। মডেল ও অভিনেত্রী। গেল ঈদে তিনি অভিনয় করেছিলেন ১০ নাটকে। আসছে ঈদুল আজহাতেও তাকে দেখা যাবে প্রায় ডজনখানেক নাটকে। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

চারদিকে এত সুনসান নীরবতা। শুটিং করছেন নিশ্চয়?

না। আজ বাসাতেই আছি। এই তো ঈদের আগেই আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। তাই লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত বলতে পারেন।

তার মানে, এখন আপনার চাপটা লেখাপড়ার। ঈদের নাটকের নয়?

পরীক্ষার আগের এই সময়ে লেখাপড়ার চাপ তো থাকেই। আর আমি বেছে বেছে কাজ করি বলে সবসময় নাটকের কাজও থাকে না। যেহেতু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় কম করা হয়, ফলে বিশেষ দিবসের নাটকে আমাকে বেশি দেখা যায়। এবারের ঈদের জন্য এরই মধ্যে এক ডজন নাটকে কাজ করেছি। তবে কোনটা কোন চ্যানেলে প্রচার হবে, সেটা বলতে পারব না।

ছাত্রী হিসেবে সাবিলা নূর কেমন?

এক কথায় অসাধারণ [হাসি]। আসলে অভিনয় আর লেখাপড়া এই দুইয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা ও ভালোলাগা রয়েছে। ফলে দুটিই আমার কাছে সমান গুরুত্ব পায়। তাই ছাত্রী হিসেবেও আমি বেশ ভালো। বিশ্বাস না হলে আমার ভার্সিটিতে খোঁজ নিয়েও দেখতে পারেন!

সম্প্রতি ‘উবার’ নামে একটি নাটকের কাজ করেছেন। এতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল…

দারুণ এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। একজন বাবা ওপরে ওপরে কঠিন হলেও ভেতরে যে কতটা নরম, তা সেই বাবাই জানেন। সন্তানের সব ইচ্ছা পূরণের জন্য কতটা পরিশ্রম করেন। সন্তানরা বাবার সেই কষ্ট দেখে না। বাবা কিছু দিতে না পারলে ভুলও বোঝে। বাবা আর সন্তানের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। এতে আমার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তিনি অসাধারণ একজন মানুষ। শুটিংয়ের সময় তার কাছে থেকে অভিনয়ের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় শিখেছি। এই নাটকে আমার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব। নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু ভাই। দারুন একজন নির্মাতা। কিছুটা চুপচাপ থাকেন। তবে ভালো কাজ আদায় করে নেয়ার ক্ষমতা যতেষ্ঠ দেখেছি তার মধ্যে। মানুষ হিসেবেও ভালো। নাটকটি আসছে ঈদে আরটিভির অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হবে।

সাবিলা নূর

এখন টেলিভিশনের পাশাপাশি ইউটিউব বা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। কোন মাধ্যম থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়া পান?

ইউটিউব থেকে বেশি সাড়া পাই। উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন টেলিভিশনে কোনো নাটক প্রচার হলে তার ভালোমন্দ জানাতে পারে না দর্শক। কিন্তু ইউটিউবে এলে নাটক দেখার পর তারা তাদের ভালোমন্দ জানাতে পারে মন্তব্যের ঘরে। ফলে ইউটিউবে দর্শকরা নাটক দেখে বলে দেন কোন কাজটা ভালো হয়েছে, কোনটা ভালো হয়নি। কোথাও ত্রুটি আছে কি-না! সেজন্য আমি আমার নাটক বা টেলিছবির সাড়া দেখতে ইউটিউবে চোখ রাখি। কে কী বলছে সেটা দেখি।

নাটক বা টেলিছবির ক্ষেত্রে অনেকেই ‘ভিউ’ কত সেটা দেখেন। একটি ভালো বা মন্দ নাটক বিচারের ক্ষেত্রে ‘ভিউ’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

আমি কোনো নাটকে কত ভিউ হলো এটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না। ভালো গল্প আর অভিনয় ভালো হলে আপনা আপনি ভিউ হবে। এখন তো অনেক মন্দ কাজও বুস্ট করে ভিউ বাড়ানো হয়। ফলে ভিউ শুধু দর্শকদের ওপর নির্ভর করে না। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়েই ভিউ বাড়ানো হয়।

নাটক, টেলিছবি, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা হয় না?

চলচ্চিত্র বড় জায়গা, বড় মাধ্যম। এখানে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হয়। কারণ আমি চাই না দু-একটি ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে গুটিয়ে নিতে। সে কারণে টিভিতে কাজের মাধ্যমে নিজেকে একটু একটু করে বড় পর্দার জন্য প্রস্তুত করছি। পাশাপাশি আমার লেখাপড়া শেষ হতে আরও বছর খানেক সময় লাগবে। তারপরই চলচ্চিত্রে দেখা যাবে বলে আশা করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.