ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শেখ ফজলে নূর তাপস তাঁর বক্তব্য শেষে সুপ্রিম কোর্টের মিলনায়তন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তাঁর পেছন পেছন ব্যাগ হাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর নাম জানায়নি পুলিশ।
সন্দেহ হলে অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা তাঁকে আটক করে তল্লাশি করেন। তাঁর ব্যাগে সাদা কাপড় ও দুটি ছুরি খুঁজে পাওয়া যায়। এ সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা আসিফ ইকবালসহ আরও চারজন (তাঁদের দুজন নারী) তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে যান। ক্ষুব্ধ আয়োজকেরা তাঁদের মারধর করেন। পরে পাঁচজনকেই আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, আসিফ ইকবাল ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার বন্ধু। তাই সংগঠনের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে যোগাযোগ করার পর শুধু ব্যাগ হাতে মেয়র তাপসের পেছন পেছন যেতে চাওয়া ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমন ঘটনায় সংগঠনের এক নেতার নাম আসায় ছাত্রলীগ বিব্রত।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর (ব্যাগসহ আটক ব্যক্তি) বক্তব্য ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটার জন্য এখানে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বড় ছুরি ছিল। এত বড় ছুরি আনার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আসিফ ইকবালসহ চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু ব্যাগ হাতে যাওয়া ব্যক্তিকে আটক রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।