রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রের দুটি রিসোর্ট আগুনে পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আরেকটি রিসোর্টের রান্নাঘর পুড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো পর্যটক বা স্থানীয় ব্যক্তি হতাহত হননি। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও তিনবার আগুনে কয়েকটি রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট-কটেজের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজেকের কংলাকপাড়ায় মেঘছোঁয়া রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে পাশের দুটি রিসোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে মেঘছোঁয়া রিসোর্ট ও ফুরঙমি রিসোর্ট সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
এ ছাড়া পতপত্যা রিসোর্টের রান্নাঘরও আগুনে পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত রিসোর্টগুলোতে পর্যটক ছিলেন না। ফায়ার সার্ভিস না থাকায় স্থানীয় লোকজন দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই রাতে রিসোর্টের পাশে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিয়েছিলেন আশপাশের মানুষজন। সেই আগুন না নিভিয়ে সবাই ঘুমাতে চলে যান। সেখান থেকেই রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিসোর্টের মালিকেরা জানান, এর আগে সাজেক ভ্যালিতে তিনবার আগুন লেগেছে। প্রথমে ২০১৭ সালে জলবুক, ২০১৮ সালে কাচালং রিসোর্ট, গবরা রিসোর্ট, সাজেক বিলাস রিসোর্ট এবং ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর অবকাশ ইকো কটেজ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বারবার আগুন লাগার ফলে রিসোর্ট মালিক সমিতি দ্রুত একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে।
রুইলুই রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, ‘আগুনে দুটি রিসোর্ট, একটি রান্নাঘর ও একটি রিসোর্টের আংশিক পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় আমাদের চোখের সামনে রিসোর্টগুলো পুড়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি জমি নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে খবর পেয়েছি।’