জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। চেয়ারম্যান বাবুসহ নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।
এর আগে শনিবার ভোরে চেয়ারম্যান বাবুকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে আটক করে র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শনিবার ভোরে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড় থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুর নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অপকর্ম নিয়ে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন বাংলানিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক নাদিম। সংবাদ প্রকাশের জেরে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নাদিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন বাবু। আদালত ওই মামলাটি খারিজ করে দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাবুর বাহিনী নৃশংস হামলা চালায় তাঁর ওপর। চেয়ারম্যান বাবু ও তাঁর ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত হামলার নেতৃত্ব দেন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তিন সন্তানের জনক চল্লিশোর্ধ্ব নাদিমের।
পরে শুক্রবার শোক আর শ্রদ্ধায় সাংবাদিক নাদিমকে চিরবিদায় জানানো হয়। সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা ও দুপুর ১২টায় নিলক্ষিয়া ঈদগাঁ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাদা-দাদির কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।