সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

0
82
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ টানা তৃতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তবে চলমান পরীক্ষাগুলো কর্মবিরতির আওতার বাইরে ছিল। তবে দাবি পূরণ না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুমকি দেন শিক্ষকেরা।
 
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। একইভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকেরা।
 
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবি আদায়ে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আগামী রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। তাতেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। ওই দিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো আজ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। এক ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
 
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন অবস্থান কর্মসূচিতে ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।
 
তিনি বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার ও জারি করা প্রজ্ঞাপন তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরব না। কোনো শিক্ষক তাদের দায়িত্ব পালন করবেন না।
 
উল্লেখ্য, চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই স্কিম বাতিলের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.