সর্বশক্তি দিয়ে তাদের চিহ্নিত করব, এক পা সরে দাঁড়াব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
57
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনের সময় সহিংসতার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি ও জঙ্গিদের দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াব না।’

আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনের সময় সংঘাত-সংঘর্ষে নিহত তিন পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্যর পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ ঘটনায় পুলিশের যে তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন, তাঁরা হলেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই মুক্তাদির। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় কর্মরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মো. জুয়েল নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘাত-সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অচল অবস্থা তৈরির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি শক্তি, জঙ্গিরা একত্র হয়ে এ ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটিয়েছে। আমরা কোনো সময়েই দেখিনি থানা ভবন আক্রমণ করতে, কারাগার আক্রমণ করতে—এগুলো আমরা নতুন করে দেখলাম।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘পুলিশকে চিহ্নিত করে ধরার জন্য মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকতে পারেনি। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াব না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান, বিএনপি–জামায়াত চক্রকে ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগামী দু-চার দিনের মধ্যে সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করেন আসাদুজ্জামান খান। কারণ, দেশের মানুষ এটি পছন্দ করছে না।

এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.