স্পেনের এই দলটিতে সবচেয়ে কম বয়স সালমা পারালুয়েলোর—১৯ বছর। আর সবচেয়ে কম বয়সী এই ফরোয়ার্ডের গোলেই নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মঞ্চে পা রেখেছে স্পেনের মেয়েরা। আজ ফিফা নারী বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ২–১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন। স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপ বা ইউরোতে মেয়েদের শেষ চারে ওঠা এবারই প্রথম। এর আগে বিশ্বকাপে শেষ ষোলো আর ইউরোতে তারা শেষ আটে উঠেছিল।
ওয়েলিংটন রিজিওনাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা ১–১ সমতায় ছিল। অতিরিক্ত সময়ে ১১১ মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোল করে স্পেনকে বড় মঞ্চে তুলে নেন বদলি নামা পারালুয়েলাো।
এর আগে নব্বই মিনিটের খেলায় বল দখল আর আক্রমণে এগিয়ে ছিল স্পেন। তবে আগের চার ম্যাচে ১৩ গোল করা স্প্যানিশরা এই ম্যাচে জাল খুঁজে পেতে হয়রান হয়েছে। ম্যাচের ৮১ মিনিটে যে গোলে দলটি এগিয়ে যায়, সেটিও পেনাল্টি থেকে আসা। বদলি নামা সালমা পারালুয়েলো নেদারল্যান্ডস বক্সের দিকে ক্রস বাড়ালে বল লাগে স্টেফানি ফন ডার গ্রাটের হাতে। ইন্টার মিলানের এই ডিফেন্ডার বক্সের বাইরে থাকলে তাঁর হাত ছিল বক্সের ভেতরে। ভিএআরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে স্পেনকে পেনাল্টি দেন রেফারি। নির্ধারিত সময় শেষের মিনিট দশেক আগে পাওয়া এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্পেনকে এগিয়ে দেন মারিওনা কালদেন্তে।
গোল শোধে মরিয়া হয়ে নেদারল্যান্ডসের প্রায় সবাই উঠে যান মাঝমাঠে। স্পেনের লক্ষ্য ছিল তাদের অফসাইডের ফাঁদে ফেলা। তবে ফাঁদ এড়িয়েই যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ম্যাচ ১–১ করে ফেলে ডাচরা। আর সেটা হ্যান্ডবল হয়ে পেনাল্টি ‘উপহার’ দেওয়া গ্রাটই এনে দেন। পেলোভার বাড়ানো বল ধরে দ্রুত এগিয়ে আঠারো গজ দূর থেকে শট নেন তিনি, দূরের পোস্ট দিয়ে বল যায় জালে। ৬২ শতাংশ সময় বলে দখল আর নেদারল্যান্ডের চেয়ে তিনগুণ বেশি (১৮) শট নিয়েও স্পেনকে নির্ধারিত সময় শেষ করতে হয় সমতায় থেকে।
এরপর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টার খেলায় প্রথম বিশ মিনিটও তাল মিলিয়েই লড়ে দুই দল। ১০৪ মিনিটে স্পেনের হারমোসোর হেড শেষ মুহূর্তে লাইনের কাছ থেকে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক ফন ডমসেলার। ১০৭ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের বিরেনস্টেইনের শট অল্পের জন্য দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
তবে এর চার মিনিট পরই ম্যাচে স্পেনের আধিপত্য নিয়ে আসেন পারালুয়েলা। প্রায় মাঝমাঠে হারমোসোর কাছ থেকে বল পেয়ে দ্রুত দুই ডাচ ডিফেন্ডারকে টপকে বক্সের কাছে পৌঁছে যান ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। এরপর জোরালো শটে বল পাঠান জালে।