সরকার ‘মাস্টারপ্ল্যান’ করে হামলা করিয়েছে: মির্জা ফখরুল

0
155
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার ‘মাস্টারপ্ল্যান’ করে হামলা করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটারই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে নয়টার পর এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। গুলি করে যুবদল নেতা শামীমকে হত্যা করেছে। বিএনপির মহাসচিব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন এই সশস্ত্র ও রক্তাক্ত আক্রমণ।

বেশ কয়েক দিন ধরে পুলিশ গণগ্রেপ্তার, হামলা ও হুমকি দিয়ে আসছিল এবং আওয়ামী লীগ নেতারা লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মহাসমাবেশে যোগদানে বিরত রাখতে গ্রেপ্তার ও মামলার হিড়িক চালানো হয়েছিল। তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। যখন তারা দেখল সকালেই মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে, মহাসমাবেশ পশ্চিম দিকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে, তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লাঠি নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাস, ট্রেন ও লঞ্চ পারাবার বন্ধ করে দিয়ে যখন সরকার মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি, তারা যখন দেখেছে বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশে লাখ লাখ লোক যোগ দিয়েছে, তখন তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে ছুড়তে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলির ঘটনায় মঞ্চে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতারাও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হন।

হামলায় বিএনপির সহস্রাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ প্রমুখ।

অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী আহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে বিএনপি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ সকাল থেকে বিবৃতি দেওয়া পর্যন্ত তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে পুলিশ বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ ‘মাস্টারপ্ল্যান’ করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন, আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনা করেন এবং আগামীকালের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.