সরকারের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপ চলে এসেছে, ধরার মতো বেজি নাই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ সরকারে চলে আসছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজি থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে, কিন্তু ওই পরিমাণ বেজি নেই যে সাপ ধরবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে দুদক ধরতে পারেনি, এনবিআর ধরতে পারেনি, বাংলাদেশ ফাইনেন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ধরতে পারেনি- এনবিআরের মতিউরকে ধরলো একটা ছাগল। ছাগল ছাড়া এই লোককে ধরা যেতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকা পাচার এখন দেশের বড় একটা সমস্যা। টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। কেউ দুর্নীতি করলে দুর্নীতির টাকা অর্থনীতিতে নিয়ে আসা যায়, কিন্তু টাকা পাচার হয়ে গেলে পাচার হওয়া টাকা যেই দেশে যায় সেই দেশের অর্থনীতির অংশ হয়ে যায়। আমরা যেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনিকেই ফেরত আনতে পারিনি সেখানে পাচার টাকা ফেরত আনবো কীভাবে? টাকা পাচারের কারণে আমাদের বাজেট সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। ’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজির কতো বড় হয়ে গেলেন মন্ত্রণালয় জানলো না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানলেন না। আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। এর দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছেন। যদি এর ফলে কিছু জমানো বা অলস টাকা বের হয়ে আসে তাহলে সমস্যা নেই, কিন্তু এই সাদা করার মধ্য দিয়ে বেনজির আর মতিউরদের টাকাও যদি সাদা হয়ে যায় আর এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর আদর্শের উত্তরাধিকার যারা তাদের টাকা যদি সাদা হয় তাহলে?’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি যখন বক্তব্য রাখছি তখন আমার সিলেটে লক্ষ মানুষ পানি বন্দী। আমাদের এখানে আগে কখনও বন্যা হতো না। এখন ২২ এ বন্যা, ২৪ এ বন্যা, আমরা বন্যায় দেবে গেছি পানির নিচে। এটা জানা দরকার ভারত থেকে আসা পানি কোথায় কোথায় বাধা পড়ে, সেটা দেখতে হবে। অনেকে মিঠামইনের রাস্তাকে সন্দেহ করে। ওই রাস্তা এই দুর্ভোগের কারণ। এটা যদি সত্য হয় তাহলে সেটাও মডিফাই করতে হবে। একটা জেলাকে সৌন্দর্য দিতে গিয়ে আরেকটা জেলাকে ডুবিয়ে দিতে পারেন না।’