পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের চরম আকার ধারণ করা বিরোধ থামছেই না। তাঁকে গ্রেপ্তারের জেরে সারাদেশে ব্যাপক সংঘাত, আগুন-ভাঙচুরের ঘটনায় এখন ব্যাপক ধরপাকড় চলছে পিটিআই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ এবং নেতাকর্মীকে রক্ষায় অবিলম্বে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে জানিয়েছেন ইমরান। দেশ বিশৃঙ্খলার দিকে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক লাইভ আলোচনায় ইমরান খান বলেন, ‘আমি আলোচনার জন্য আবেদন জানাতে চাই। কারণ, বর্তমানে যা ঘটছে তা সমাধান নয়।’
সহিংসতার অভিযোগে সম্প্রতি পিটিআইর অধিকাংশ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মুক্তি পেয়ে অনেকেই দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মধ্যম সারির অনেক নেতাও দল ছেড়ে চলে গেছেন। তবে তাঁদের দাবি, তাঁরা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। তাঁদের অনেকেই কারণ হিসেবে পরিবারিক এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।
ইমরান বলেন, তাঁকে দুর্বল করতে এবং তাঁর দল ভেঙে দেওয়ার জন্য নেতাদের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সহিংসতায় তাঁর দল জড়িত নয়।
অবশ্য, এই ধরপাকড়ের কারণেই তাঁর দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তখনই তিনি জয়ী হবেন।
পাকিস্তানে আগামী নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বিভিন্ন জরিপ বলছে, ইমরান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
এদিকে শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়ায় ইমরানের দল এবং সমর্থকদের ওপর চাপের কারণে আলোচনার কথা বলেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সামরিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করতে পারবেন অভিযুক্তরা।