ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মো. মাহবুবুল আলমকে সমর্থন দিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতিসহ বিভিন্ন চেম্বার ও পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা। মাহবুবুল আলম বর্তমানে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গত মঙ্গলবার রাতে এক অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মো. মাহবুবুল আলমের প্রতি সমর্থন জানান ব্যবসায়ী নেতারা। এফবিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
‘ডেভেলপিং স্মার্ট লিডারশিপ টু ক্রিয়েট স্মার্ট ইকোনমি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সরকার ব্যবসায়ীদের সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী কোরবানির ঈদের পর বসবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সব ব্যবসায়ীর কথা শুনবেন। আশা করি, ব্যবসায়ী সমাজের জন্য সেটি অনেক ভালো হবে।’
এফবিসিসিআইর নির্বাচন নিয়ে সালমান রহমান বলেন, একসময় প্রক্সি ভোটে নেতা নির্বাচিত হতেন। এখন সেই পদ্ধতি নেই। এখানে যোগ্যরাই নির্বাচিত হয়ে আসেন। দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম থেকে নেতা পাচ্ছে এফবিসিসিআই। এ জন্য মাহবুবুল আলমকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ৬০০-৭০০ ব্যবসায়ী নেতা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, মাহবুবুর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মীর নাসির, আবদুল আওয়াল মিন্টু। একপর্যায়ে তাঁরা দাঁড়িয়ে মাহবুবুল আলমের প্রতি সমর্থন জানান।
মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সিনিয়রদের উপদেশ ও পর্ষদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নেতৃত্ব তৈরিতে কাজ করব।’
এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, ২০২৩-২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে। এরপর ২ আগস্ট সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ছয় সহসভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পরিচালক পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১ জুলাই।
এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ ৮০ জনের। এরমধ্যে জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বারগুলো থেকে ৪০ জন ও পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো থেকে ৪০ জন পরিচালক হন।