সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন যে পরিস্থিতি হয়েছে সংবিধানে সংশোধন কোনো কাজে আসবে না।
শনিবার (৩১ আগস্ট) গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে ‘ক’ ধারায় এমন কিছু জিনিস আনা হয়েছে যেটি সংশোধন করার কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, সহনশীলভাবে মতপ্রকাশ এবং মতপ্রকাশে সংখ্যালঘুর নিশ্চয়তা বিধানই হচ্ছে গণতন্ত্র। আমাদের সেই গণতন্ত্র পুনর্গঠন করতে হবে। তাই সংবিধানে হাত দেওয়া ছাড়া আমি আর কোনো পথ দেখতে পাচ্ছি না।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজুল আলম বলেন, জনগণের বৃহত্তর অংশ কী চাচ্ছে সেটা গুরুত্ব দিতে হবে। যে ত্যাগের মাধ্যমে বর্তমান দেশ অর্জন সংবিধানে তার প্রতিফলন থাকতে হবে। ৭১-এর আকাঙ্ক্ষা বাদ দেওয়া হলে সংবিধান পুনর্লিখন আত্মঘাতী হবে।
নিউএজ এর সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, যিনি সংবিধান রচনা করেন, তিনি বাস্তবায়ন করেন এটা কনফ্লিক্ট। জাতিরাষ্ট্র করার নামে দলীয় সংবিধান করা হয়েছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জুর হাসান বলেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই। এতে অনেক বিতর্ক এড়ানো যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বোরহান উদ্দিন খান বলেন, সংবিধানের অষ্টম সংশোধনের সময় আমরা ভুল করেছি। সংবিধান পুনর্লিখন চাইলেই করা যায় না।